August 4, 2025, 1:30 am
ব্রেকিং নিউজ :
সর্বশেষ :
Wellcome to our website...
সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টসে ভয়াবহ আগুন, ১২ কোটি টাকা ক্ষতি
438 Time View
Update : Sunday, September 1, 2019

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি তৈরী পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের কারনে গার্মেন্টসটিতে প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মালিকপক্ষ। ৭ লক্ষ পিস প্রস্তুত করা গেঞ্জি ছিলো। গেঞ্জিগুলো আজ রবিবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা ছিলো এবং এর সাথে আরো বিভিন্ন ফেব্রিক্সও ছিলো ও একটি ডিজিটাল কাটার মেশিন সহ সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে বলে জানান একে ফ্যাশনের পরিচালক ইসফাত আহসান। এত করে মালিকপক্ষের ভাগিনা শিপু সহ শ্রকিমরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। রবিবার ভোর ৪ টার সময় সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ মজিব ভবনটি ভাড়া নেওয়া একে ফ্যাশনের ২ তলায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খরব পেয়ে আদমজী ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি, হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ২ টি, ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ২ টি এবং মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিসের ২ টি মোট ৯ টি ইউনিট ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।                                                                                       জানা যায়, বরিবার ভোর ৪ টার সময় সিদ্ধিরগঞ্জপুলে একে ফ্যাশন গার্মেন্টসের সিকিউরিটি ২ তলায় আগুন দেখতে পেয়ে মালিকপক্ষকে ফোনে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আদমজী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলটি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশের পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম পরিদর্শন করেছেন। তবে অগ্নিকান্ডের ঘটনার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আকতারুজ্জামান কিছু বলতে পারেননি। তিনি বলেন, উক্ত অগ্নিকান্ডের ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে, তার পর জানা যাবে আগুনের সূত্রপাত কি ভাবে হয়েছে।                                                                                                                                                                                           
উল্লেখ্য যে, একে ফ্যাশনের ডিরেক্টর মিজানুল আহসান গত ২২ ই জুলাই ব্যক্তিগত কাজে আমেরিকা গেছেন। ২৪ শে সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
একে ফ্যাশনের পরিচালক ইসফাত আহসান বলেন, ভোর বেলায় আগুনের কথা শুনে দ্রুত ছুটে যাই গার্মেন্টসে। আগুনের লেলিহাল শিখা আমাদের সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। গতকাল শরিবার রাত ৭ পর্যন্ত কারখানা চলে বন্ধ হয়ে যায়। নিচ তলায় বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ ছিলো। তাই শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে ২ তলায় আগুনের সূত্রপাত হওয়া অসম্ভব। পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। এদিকে মালিকপক্ষের ভাগিনা শিপু গার্মেন্টসে আগুন দেখতে পেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি কান্নাভেজা কন্ঠে বলেন, এ গার্মেন্টসটি সবসময় দেখে রেখেছি। এত কষ্ট করে এই পর্যন্ত কারখানাটিকে এনেছি। আগুনে সব কিছু শেষ করে দিলো।

More News Of This Category
Our Like Page